Header Ads

ad728
  • Breaking News

    পর্যটন খাতের জন্য আরও ৫০০ কোটি টাকার তহবিল


    পর্যটন খাতের কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে আরও ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ এই তহবিল থেকে যে ঋণ দেয়া হবে, তার সুদ হার ৮ শতাংশ থাকলেও পরিশোধ করতে হবে ৪ শতাংশ হারে। কারণ, বাকি ৪ শতাংশ দেবে সরকার।


    এর আগে পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল ও থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৮ শতাংশ সুদে এক হাজার কোটি টাকার স্কিম গঠন করা হয়। সব মিলিয়ে এ খাতে ঋণ দেয়ার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন হলো।


    করোনায় পর্যটন খাত ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে হোটেল, মোটেলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় জমায়েত হয়নি বললেই চলে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা। কর্মীদের বেতন-ভাতাও দিতে পারেনি বহু প্রতিষ্ঠান।


    রোববার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি রিসোর্ট যে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে করোনায় কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা প্রকাশ পেয়েছে। কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল সি পার্ল গত জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৬১ পয়সা আয় করতে পেরেছে। অথচ মার্চ পর্যন্ত আয় ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ ৯ মাসে যত আয় করেছে, ৩ মাসে, তার অর্থেক লোকসান হয়েছে তাদের।


    নতুন এই তহবিল সি পার্লের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দেবে সন্দেহ নেই। এই তহবিল থেকে যে ঋণ দেয়া হবে, তার সুদ হার ৮ শতাংশ থাকলেও পরিশোধ করতে হবে ৪ শতাংশ হারে। কারণ, বাকি ৪ শতাংশ দেবে সরকার।


    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৪১৭তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ। সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।


    করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


    চলতি বছরের মুদ্রানীতিতেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, সিএমএসএমই, বৃহৎ শিল্প, রপ্তানিমুখী শিল্প ও সেবা খাতের জন্যে ইতোমধ্যে নেয়া পুনঃঅর্থায়ন স্কিম বর্ধিতকরণের পাশাপাশি অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মচারী এবং বেসরকারি শিক্ষাখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন।


    নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।


    এদিকে প্রস্তাবিত ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’ এর অনুকূলে ইস্যু করা লেটার অব ইনটেন্টের শর্তাবলী পূরণের সময় বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।


    ২০২০-২০২১ র্অবছরের তফসিলি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ ও বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবেলায় কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করা হয়েছে।

    কোন মন্তব্য নেই

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728