সামরিক শাসক জিয়া ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করেছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী/ বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা-স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে অস্ত্রের প্রবর্তন করেন। তিনি ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে এ দেশের সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করে তোলেন। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ছাত্ররাজনীতিতে এক নবযুগের সূচনা করেন। তিনি অস্ত্র নয়, কলমের শক্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সব সময়। তিনি আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ডুয়েট শাখা কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা-স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।সংগঠনটির এ দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে দেশ ও জাতির জন্য গৌরবময় অসংখ্য অর্জন। সমৃদ্ধ সেসব অর্জন জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের ঠিকানা। স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের যেভাবে হলো, সে শব্দ প্রাপ্তিতে সংগঠনটির অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। তিনি বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন হতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঝাপিয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুঁতোয় গাঁথা উল্লেখ করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,
জেল-জুলুম আর অত্যাচার-নির্যাতনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিল জর্জরিত। তার যৌবনের ১৩টি বছর কেটেছে পাকিস্তান কারাগারে। ১৯৬৯ সালে ২১ দফা আন্দোলনের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পান শেখ মুজিবুর রহমান। ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মের সঙ্গে তাই ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রতিমন্ত্রী এসময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারন করে দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান , বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।
ডেস্ক রিপোর্ট/

কোন মন্তব্য নেই