পরকীয়া সন্দেহ করে বেরিয়ে এলো ব্যবসায়িক দ্বন্দে খুন
খুনের পেছনে সন্দেহ ছিল পরকীয়ার, বেরিয়ে এলো ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব
এরপর আটক করা হয় চারজনকে। এর মধ্যে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। নাম এসেছে আরও একাধিক ব্যক্তির। তাদের আটকেও অভিযান চলছে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে তালম গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩১), গুল্টা গ্রামের মৃত বাবুলাল তির্কীর ছেলে নিরঞ্জন তির্কী (৪৭), স্থানীয় মৃত সুধীর এক্কার ছেলে লালন এক্কা (২৪) ও খোকা তপ্যর ছেলে রাজ কুমার তপ্যকে (৩১) ২৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও নিরঞ্জন তির্কী ২৬ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আটকদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মতিনের দোকানের পাশেই ইলেকট্রিকের ব্যবসা করতেন আরিফুল ইসলাম। মতিনের ব্যবসার উন্নতি দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে আরিফ। এক পর্যায়ে মতিনের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জনের স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্কের অপপ্রচার চালানো হয়।।
তিনি আরও বলেন, তিন-চার মাস আগে স্থানীয় স্কুলমাঠে একটি অনুষ্ঠানে বক্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আরিফ ও মতিনের বাকবিতণ্ডা হয়। এতেও আরিফের টার্গেটে পরিণত হয় মতিন। ঘটনার দিন ১৬ জুন রাত ১টার দিকে মতিন দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে নিরঞ্জন, নিরঞ্জনের স্ত্রী পদ্মা, নিরঞ্জনের ছেলে মিঠুন ও আরিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিরঞ্জন ও আরিফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় মতিনের। এ সময় নিরঞ্জনের সহায়তায় মতিনের ঘাড় মটকে দেয় আরিফ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান মতিন। তার মরদেহ তাড়াশ থানার গুল্টা বাজার সংলগ্ন একটি হাইস্কুল মাঠের পাশে টয়লেটের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় টয়লেটে যেতো না কেউ। স্থানীয় মাঠে ছেলেরা ক্রিকেট খেলার একপর্যায়ে বল গিয়ে পড়ে টয়লেটের পাশে। সেখানেই তারা মতিনের মরদেহ দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৬ জুন তাড়াশ থানায় নিহতের ভাই মো. মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। নিহত আব্দুল মতিন (৩৮) তালম পদ্মপাড়া গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে।
কোন মন্তব্য নেই