গণধোলাই দেয়া হলো জেলা সৈনিক লীগের সা. সম্পাদককে।।
মোঃ নজরুল ইসলাম জাকিঃ বগুড়ার শেরপুরের শিবপুর গ্রামে বিরোধপুর্ন পুকুরে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মাছ মারতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছে বগুড়া জেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া তারেক বিদ্যুত। এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মলা প্রামানিকের ছেলে পুকুরের মালিক ইলাম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। একই এলাকার মৃত বিরাজের ছেলে দুলাল সেই পুকুরের মাছ চুরি করার জন্য বগুড়া জেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া তারেক বিদ্যুত সহ বেশ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীকে শহর থেকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই পুকুরে চুরি করে মাছ মারতে গেলে পুকুরের মালিক ইলামসহ তার লোকজন বাধা প্রদান করে। এ সময় জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতের বাহিনী তাদের মারধর করে। এতে ইলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।পরে গ্রামবাসী সবাই একজোট হয়ে এসে জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে গাছের সাথে বেধে রেখে গণধোলাই দিলে বাকিরা সবাই পালিয়ে যায়। সকালে পুলিশে খবর দিলে শেরপুর থানা পুলিশের এএসআই খায়রুল তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
এ ব্যাপারে দুলাল হোসেন বলেন, ওই পুকুরের মালিক আমি। গ্রামের মানুষের সাথে বৈঠক করে পুকুরে মাছ চাষ করেছি। ওই পুকুর নিয়ে কোর্টে মামলাও আছে। এমতাবস্থায় পুকুরের মাছ মারতে গেলে রাজুরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে পুকুরের মালিক ইলাম হোসেনের ছেলে রাজু আহম্মেদ জানান, দুলাল আমাদের পুকুর থেকে মাছ মারার জন্য শহর থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনেছিল। রাতের আধাঁরে মাছ চুরি করার সময় আমরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বড় ভাই সহ ৪ জন আহত হয়। আমাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাছ চুরির ঘটনায় গণধোলাইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাকারিয়া তারেক বিদ্যুতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই