Header Ads

ad728
  • Breaking News

    সদ্য নির্বাচিত দিঘলিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য

    দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ গত ২৭ মে দিঘলিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সম্মেলনে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য "জুলফিকার আলী" কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির উপস্থিতিতে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। তবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    গত ২৭ মে শুক্রবার দিঘলিয়া উপজেলা কৃষক লীগের পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ আশরাফ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনর রশীদ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে হঠাৎ করে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন জুলফিকার আলী। আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিএনপি জামাত পন্থী একটি গ্রুপ জুলফিকার কে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাম ঘোষণার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং সাবজেক্ট কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জুলফিকার আলী কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে। কিন্তু এরপরই জুলফিকার আলীর দলীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খবর নিয়ে জানা যায়, জুলফিকার আলীর আদী বাড়ি তেরখাদা উপজেলাধীন পার হাজীগ্রামে। পার হাজীগ্রামের নান প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার পিতা মৃত শফিউদ্দিন ফারাজী স্বাধীনতার সময় রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখায় এবং এলাকায় লুটতরাজ চালায়। তার পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জুলফিকারের এক ভাই তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন এর তিন নাম্বার ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন স্হানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলার স্হানীয় কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, জুলফিকার আলী মাত্র এক মাস আগে গত ২৪ এপ্রিল সেনহাটি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সদস্য হয় এবং এক মাস পারে উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেল যা খুবই আশ্চর্যজনক। এর পিছনে আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিএনপি জামাতের দোসরা জড়িত। স্হানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ও সে জড়িত না, তাকে কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখি নাই। তার বিরুদ্ধে স্হানীয় একটি সমিতির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা কৃষক লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, কৃষক লীগের সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি কৃষক লীগের সদস্য হিসাবে নুন্যতম এক বছর অতিবাহিত না করলে সে কোন সম্পাদকীয় পদ পেতে পারে না, কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ সব কিছুকে অবজ্ঞা করে জুলফিকার কে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে, যা আমাদের বোধোগম্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা বলেন, অভিযোগ আছে ওই কমিটিতে কৃষক লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। দলের ঐতিহ্য রক্ষায় জেলা কৃষক লীগ ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের তড়িৎ সিদ্ধান্ত আশা করছি। শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের সাথে পরামর্শক্রমে কৃষক লীগের বিতর্কিত এ কমিটি বাতিল ঘোষণা করবে আশাকরি।

    কোন মন্তব্য নেই

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728