Header Ads

ad728
  • Breaking News

    হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

    আকিকুর রহমান রুমনঃ-হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

    উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কুশিয়ারা নদীর বাধ ভেঙ্গে এবং অতিবৃষ্টির কারণে বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন‘ই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে।প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলার সাথে পাশর্বর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বানিয়াচং ভায়া নবীগঞ্জ সিলেট সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বানিয়াচংয়ের সাথে হবিগঞ্জ জেলা সহ সারাদেশের সঙ্গে যে কোন মূহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা দূর্যোগ ও ত্রান শাখা(পিআইও অফিস)সূত্রে জানা যায়,১১২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ হাজার পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে।পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ লোকসংখ্যা ৪৫ হাজার। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৪৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দুইলক্ষ টাকা। এছাড়া ৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দূর্গত এলাকার মানুষজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়,গ্রামের মানুষজন ধান ও গবাদি পশু নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।যে কারণে অনেকেই ঘরে পানি উঠা স্বত্বে বাড়ি ছেড়ে কোন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারতেছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ধান ও গবাদি পশু বিক্রয় করে দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,৫ হাজার ৯শ হেক্টর রোপা আমন ও ১ হাজার ৬শ ৪০ হেক্টর আউশ ও ৫ হাজার ৬শ হেক্টর বোনা আমনের জমি সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে গেছে।যার ক্ষতির পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৮শ পুকুর সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে।যার ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা। তবে মৎস্য চাষীরা মৎস্য অফিসের এই হিসাব মানতে নারাজ। বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে সাধারণ মানষজন আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন,আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষজনদের শুকনো খাবার সহ অন্যান্য ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছি। এবং এই ত্রান তৎপরতা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।

    কোন মন্তব্য নেই

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728